গবেষণায়- পালসেটিলা।
Dr. Muhammad Fouzullah Masum
পালসের রোগীরা অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র হয়। এ জন্য শান্ত শ্লিষ্ট নম্র ভদ্র কাউকে দেখলেই আমরা পালস কে মনে করি। কিন্তু পালস ছাড়া আর কোন কোন ঔষধের রোগী শান্ত নম্র ভদ্র?
চেম্বারে অনেক রোগী পাবেন -যারা রোগের কথা বর্ননা করতে গিয়ে কাঁদে , তারা সবাই পালসেটিলার রোগী । পালসের রোগী অত্যন্ত কোমল প্রকৃতির, ক্রন্দলশীল, অত্যন্ত অভিমানী, রোগী যেমন চুপচাপ ঠান্ডা থাকতে পছন্দ করেন, তেমনি ঠান্ডা খেতে ও ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে । মুক্তহাওয়া তার বড়ই পছন্দ । যারা খুব চন্ছল ,তারা পালসের রোগী হতে পারেনা এ কথা সবার মনে রাখা দরকার ।
তরুন রোগের সহিত শীতবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । যতব্যথা ততশীত । ঋতু বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত গেলে পালস কে স্মরন করবেন । পালসের রোগী বামপাশে শুইতে পারেনা, মার্কসলের রোগী ডান পাশে শুইতে পারেনা । কারন কষ্ট বাডে । কপালের উপর হাত রেখে চিত হয়ে শুইতে পছন্দ করে । এ লক্ষন টি লাইকো ও কষ্টিকাম মেডোরিনামেও আছে ।
রোগী গরম কাতর তবে গোছল পছন্দ করেনা । এ লক্ষন টি সালফারের ও চমৎকার লক্ষন । পালসের রোগীর একপাশে ঘাম, এক পাশে শুষ্ক থাকে । এটি একটি আনকমন লক্ষন তাই মনে রাখা দরকার ।
পালসের সমস্ত রোগ ধিরে ধিরে বৃদ্ধি হয় । এ কথাটি মুক্তাসম - যখনি কোন রোগীর রোগ আক্রমণ ধীরে বৃদ্ধি দেখবেন তখন শত শত ঔষধ বাদ দিয়ে অল্প কয়েক টি ঔষধের মধ্যে চলে আসা যায় । রোগ আক্রমণের গতি ধীর ও মৃদু প্রকৃতির প্রথম শ্রেনির ঔষধ হল- ব্রায়েনিয়া , জেলস, কোনিয়াম, ককিউলাস , এলুমিনা, সাইলেসিয়া , এন্টিমটার্ট , আইওডিয়াম, লাইকো ইত্যাদি I
খাওয়ার পর লাইকো কাপড় ঢিলা করে দেয় , নতুবা অস্থিরতা শুরু হয়, পালসেটিলা তার বিপরীত । পালসেটিলা কাপড় জোরে কষে বাঁধলে আরাম পান । পালসের রোগী তার বিছানার চাদরের মাঝে উলঙ্গ মানুষের ছবি দেখতে পায় । ঋতু আবদ্ধ হওয়ার পর তার এই মনোলক্ষন্য দেখা দেয় । কখনো কখনো সে দেখে শয়তান তাকে নিতে আসছে, তার মন এই ভাল এই খারাপ,এই হাসে, এই কাঁদে । পালসের রোগী লোভী ও হিংসুক হয়, নাক্স ও লাইকোর রোগী অনেকটাই হিংসুক । মাথার ভিতরে পিছনের দিকে , একপাশে অতি তীব্র যন্তনা অনুভুত হয়।মনে হয় একটা পেরেক সজোরে মাথায় প্রবেশ করানো হচ্ছে । এই লক্ষন টা পালসের খুব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । অনেক রোগী এসে বলে " মাথা ব্যাথার সময় আমার মাথার মধ্যে যেন কেউ পেরেক মারতেছে । এটা শুনলেই পালস কে চিন্তা করবেন । রোগী সাধারনত কানে শুনেনা কিন্তু গাড়ী বা ট্রেনের শব্দে সব কিছু শুনতে পায় এটি পালসের আনকমন লক্ষন । পালসের উদরাময়ের মল একবার এক রকম হয়, কখনো সাদা, কখনো পানির মত, কখনো আম মিশ্রিত । ঘৃত, দুধ, মাখন,ইলিশ মাছ পোলাও খাইয়া পেটে সমস্যা হলে পালস তাদের জন্য ধন্বস্তরী । কেবল গোস্ত খেয়ে পেটে সমস্যা হলে নাক্স ভাল কাজ করে । বয়স হওয়া শর্তে ও স্ত্রী যন্ত্রের ঠিকমত উন্নতি না বলে লক্ষন থাকলে পালসেটিলা ভাল ফল দেয় । পালসের লক্ষন না থাকলে হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক ক্যালকেরিয়া ফস কে ভুলবেন না । দাঁতের ব্যথা সাধারনত গরম জ্বলে উপশম , কিন্তু পালসের ঠান্ডা জলে উপশম । ঠান্ডা জলে উপশম অন্যান্য ঔষধ হল ব্রায়োনিয়া , কফিয়া, নেট্টাম সালফ, ও বিসমাথ ।
ইগ্নেসিয়াতেও সর্বদা বিষণ্ন ও দুঃখিতভাব আছে,কিন্তু পালসেটিলার রোগীণীর মত সান্ত্বনা প্রাপ্তির আশায় কাঁদিয়া কাঁদিয়া নিজ দুঃখের বিষয় অপরকে জানাইতে চাই না, সে শোকদুঃখ নীরবে সহ্য করে।।
ষ্ট্যানাম মেটেও পালসেটিলার মত সামন্য কারণে কান্না করা আছে।ষ্ট্যানাম মেটের রোগী শীর্ণ এবং বক্ষঃস্থলে সাতিশয় দুর্বলতা অনুভব করে।ফুসফুসের অসুখ হইলে ভাবিয়া আকুল হয় এবং নিরাশায় কান্না করে,সে মনে তার মৃত্য হইবে। লাইকোর রোগী ধন্যবাদ দিলে কান্না করে।
রোগী পিপাসাহীনতা দেখলে শত ঔষধ ফেলে গুটি কয়েক ঔষধ কে স্মরন করতে হয়। পালস তন্মধ্যে অন্যতম । এই পিপাসাহীনতার সব ঔষধ গুলোকে মনে রাখার জন্য আমি একটা সেন্টেন্স তৈরী করেছি। আপনারাও ইচ্ছে করলে মুখস্ত করে রাখতে পারেন। "পানির পিপাসা না থাকলে ইথু""পাল" কে পাঠিয়ে "জেল"এপি" কিনে "ইপিকে" দিয়ে নাইট্রিক এসিডকে দিও। অত্র লাইনে পিপাসাহীনতা ঔষধ - ইথু= ইথুজা, পাল= পালসেটিলা, জেল= জেলসিমিয়াম , এপি= এপিস,ইপি= ইপিকাক, এবং এসিড নাইট।
যে সব মহিলারা অতিরিক্ত বাচাল তাদের কে ল্যাকেসিস, যারা ঝগডাটে তারা লিডাম, আর শান্তরা পালস। আমাদের একটিভ নারীরা বেশীর ভাগ পালস। তবে আমার মনে হয় এ ভাবে চিন্তা করা ঠিক হচ্ছেনা। আরো কয়েকটি ঔষধের রোগী শান্ত ও বাচাল হয়। আমার মনে বয় পার্সেন্টিজ একটু চেন্জ করতে হবে। বর্তমানে সবকিছুর দাম যেভাবে বেডেছে তাতে প্রকৃত আয় দ্বারা সংসার চালানো কঠিন। তাই অধিকাংশ মানুষ অবৈধ ভাবে উপরি ইনকাম করছে। অথবা অন্যথেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। যা হারাম। আর হারাম ইনকামের আয়ের টাকা খেলে মানুষের লজ্জা উঠে যাবে। তার প্রমান আদম ও হাওয়া( আ) কাহিনী। নিষিদ্ধ (হারাম) গন্ধম খাওয়ার কারনে যেমনি তাদের শরীর থেকে জামা কাপড় গুলো খুলে পডে যান। তেমনি বর্তমানে হারাম ইনকাম খাওয়ায় মানুষের লজ্জা উঠে যাচ্ছে , কি পুরুষ, কি নারী।
তৈলাক্ত কিংবা গরুর গোস্ত খেয়ে পেটে সমস্যা হলে পালস ভাল কাজ করে। ভাজাপোডা খাবার খেয়ে পেটে সমস্যা হলে নাক্স ভাল কাজ করে। ফল খেয়ে পেটে সমস্যা হলে চায়না ভাল কাজ করে। কিন্তু কাঁঠাল খেয়ে পেটে সমস্যা হলে ক্যামোমিলা ভাল কাজ করে।
ধন্যবাদ অর্জুন ভাই কে সুন্দর আলোচনা তুলে আনার জন্য বিশেষত পিপাসাহীনতায় শীতকাতর ও গরম কাতর ঔষধ আলাদা করে তুলে ধরার জন্য ।
Dr. Muhammad Fouzullah Masum
পালসের রোগীরা অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র হয়। এ জন্য শান্ত শ্লিষ্ট নম্র ভদ্র কাউকে দেখলেই আমরা পালস কে মনে করি। কিন্তু পালস ছাড়া আর কোন কোন ঔষধের রোগী শান্ত নম্র ভদ্র?
চেম্বারে অনেক রোগী পাবেন -যারা রোগের কথা বর্ননা করতে গিয়ে কাঁদে , তারা সবাই পালসেটিলার রোগী । পালসের রোগী অত্যন্ত কোমল প্রকৃতির, ক্রন্দলশীল, অত্যন্ত অভিমানী, রোগী যেমন চুপচাপ ঠান্ডা থাকতে পছন্দ করেন, তেমনি ঠান্ডা খেতে ও ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে । মুক্তহাওয়া তার বড়ই পছন্দ । যারা খুব চন্ছল ,তারা পালসের রোগী হতে পারেনা এ কথা সবার মনে রাখা দরকার ।
তরুন রোগের সহিত শীতবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । যতব্যথা ততশীত । ঋতু বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত গেলে পালস কে স্মরন করবেন । পালসের রোগী বামপাশে শুইতে পারেনা, মার্কসলের রোগী ডান পাশে শুইতে পারেনা । কারন কষ্ট বাডে । কপালের উপর হাত রেখে চিত হয়ে শুইতে পছন্দ করে । এ লক্ষন টি লাইকো ও কষ্টিকাম মেডোরিনামেও আছে ।
রোগী গরম কাতর তবে গোছল পছন্দ করেনা । এ লক্ষন টি সালফারের ও চমৎকার লক্ষন । পালসের রোগীর একপাশে ঘাম, এক পাশে শুষ্ক থাকে । এটি একটি আনকমন লক্ষন তাই মনে রাখা দরকার ।
পালসের সমস্ত রোগ ধিরে ধিরে বৃদ্ধি হয় । এ কথাটি মুক্তাসম - যখনি কোন রোগীর রোগ আক্রমণ ধীরে বৃদ্ধি দেখবেন তখন শত শত ঔষধ বাদ দিয়ে অল্প কয়েক টি ঔষধের মধ্যে চলে আসা যায় । রোগ আক্রমণের গতি ধীর ও মৃদু প্রকৃতির প্রথম শ্রেনির ঔষধ হল- ব্রায়েনিয়া , জেলস, কোনিয়াম, ককিউলাস , এলুমিনা, সাইলেসিয়া , এন্টিমটার্ট , আইওডিয়াম, লাইকো ইত্যাদি I
খাওয়ার পর লাইকো কাপড় ঢিলা করে দেয় , নতুবা অস্থিরতা শুরু হয়, পালসেটিলা তার বিপরীত । পালসেটিলা কাপড় জোরে কষে বাঁধলে আরাম পান । পালসের রোগী তার বিছানার চাদরের মাঝে উলঙ্গ মানুষের ছবি দেখতে পায় । ঋতু আবদ্ধ হওয়ার পর তার এই মনোলক্ষন্য দেখা দেয় । কখনো কখনো সে দেখে শয়তান তাকে নিতে আসছে, তার মন এই ভাল এই খারাপ,এই হাসে, এই কাঁদে । পালসের রোগী লোভী ও হিংসুক হয়, নাক্স ও লাইকোর রোগী অনেকটাই হিংসুক । মাথার ভিতরে পিছনের দিকে , একপাশে অতি তীব্র যন্তনা অনুভুত হয়।মনে হয় একটা পেরেক সজোরে মাথায় প্রবেশ করানো হচ্ছে । এই লক্ষন টা পালসের খুব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন । অনেক রোগী এসে বলে " মাথা ব্যাথার সময় আমার মাথার মধ্যে যেন কেউ পেরেক মারতেছে । এটা শুনলেই পালস কে চিন্তা করবেন । রোগী সাধারনত কানে শুনেনা কিন্তু গাড়ী বা ট্রেনের শব্দে সব কিছু শুনতে পায় এটি পালসের আনকমন লক্ষন । পালসের উদরাময়ের মল একবার এক রকম হয়, কখনো সাদা, কখনো পানির মত, কখনো আম মিশ্রিত । ঘৃত, দুধ, মাখন,ইলিশ মাছ পোলাও খাইয়া পেটে সমস্যা হলে পালস তাদের জন্য ধন্বস্তরী । কেবল গোস্ত খেয়ে পেটে সমস্যা হলে নাক্স ভাল কাজ করে । বয়স হওয়া শর্তে ও স্ত্রী যন্ত্রের ঠিকমত উন্নতি না বলে লক্ষন থাকলে পালসেটিলা ভাল ফল দেয় । পালসের লক্ষন না থাকলে হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক ক্যালকেরিয়া ফস কে ভুলবেন না । দাঁতের ব্যথা সাধারনত গরম জ্বলে উপশম , কিন্তু পালসের ঠান্ডা জলে উপশম । ঠান্ডা জলে উপশম অন্যান্য ঔষধ হল ব্রায়োনিয়া , কফিয়া, নেট্টাম সালফ, ও বিসমাথ ।
ইগ্নেসিয়াতেও সর্বদা বিষণ্ন ও দুঃখিতভাব আছে,কিন্তু পালসেটিলার রোগীণীর মত সান্ত্বনা প্রাপ্তির আশায় কাঁদিয়া কাঁদিয়া নিজ দুঃখের বিষয় অপরকে জানাইতে চাই না, সে শোকদুঃখ নীরবে সহ্য করে।।
ষ্ট্যানাম মেটেও পালসেটিলার মত সামন্য কারণে কান্না করা আছে।ষ্ট্যানাম মেটের রোগী শীর্ণ এবং বক্ষঃস্থলে সাতিশয় দুর্বলতা অনুভব করে।ফুসফুসের অসুখ হইলে ভাবিয়া আকুল হয় এবং নিরাশায় কান্না করে,সে মনে তার মৃত্য হইবে। লাইকোর রোগী ধন্যবাদ দিলে কান্না করে।
রোগী পিপাসাহীনতা দেখলে শত ঔষধ ফেলে গুটি কয়েক ঔষধ কে স্মরন করতে হয়। পালস তন্মধ্যে অন্যতম । এই পিপাসাহীনতার সব ঔষধ গুলোকে মনে রাখার জন্য আমি একটা সেন্টেন্স তৈরী করেছি। আপনারাও ইচ্ছে করলে মুখস্ত করে রাখতে পারেন। "পানির পিপাসা না থাকলে ইথু""পাল" কে পাঠিয়ে "জেল"এপি" কিনে "ইপিকে" দিয়ে নাইট্রিক এসিডকে দিও। অত্র লাইনে পিপাসাহীনতা ঔষধ - ইথু= ইথুজা, পাল= পালসেটিলা, জেল= জেলসিমিয়াম , এপি= এপিস,ইপি= ইপিকাক, এবং এসিড নাইট।
যে সব মহিলারা অতিরিক্ত বাচাল তাদের কে ল্যাকেসিস, যারা ঝগডাটে তারা লিডাম, আর শান্তরা পালস। আমাদের একটিভ নারীরা বেশীর ভাগ পালস। তবে আমার মনে হয় এ ভাবে চিন্তা করা ঠিক হচ্ছেনা। আরো কয়েকটি ঔষধের রোগী শান্ত ও বাচাল হয়। আমার মনে বয় পার্সেন্টিজ একটু চেন্জ করতে হবে। বর্তমানে সবকিছুর দাম যেভাবে বেডেছে তাতে প্রকৃত আয় দ্বারা সংসার চালানো কঠিন। তাই অধিকাংশ মানুষ অবৈধ ভাবে উপরি ইনকাম করছে। অথবা অন্যথেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। যা হারাম। আর হারাম ইনকামের আয়ের টাকা খেলে মানুষের লজ্জা উঠে যাবে। তার প্রমান আদম ও হাওয়া( আ) কাহিনী। নিষিদ্ধ (হারাম) গন্ধম খাওয়ার কারনে যেমনি তাদের শরীর থেকে জামা কাপড় গুলো খুলে পডে যান। তেমনি বর্তমানে হারাম ইনকাম খাওয়ায় মানুষের লজ্জা উঠে যাচ্ছে , কি পুরুষ, কি নারী।
তৈলাক্ত কিংবা গরুর গোস্ত খেয়ে পেটে সমস্যা হলে পালস ভাল কাজ করে। ভাজাপোডা খাবার খেয়ে পেটে সমস্যা হলে নাক্স ভাল কাজ করে। ফল খেয়ে পেটে সমস্যা হলে চায়না ভাল কাজ করে। কিন্তু কাঁঠাল খেয়ে পেটে সমস্যা হলে ক্যামোমিলা ভাল কাজ করে।
ধন্যবাদ অর্জুন ভাই কে সুন্দর আলোচনা তুলে আনার জন্য বিশেষত পিপাসাহীনতায় শীতকাতর ও গরম কাতর ঔষধ আলাদা করে তুলে ধরার জন্য ।
No comments:
Post a Comment