তেমনি মানষিক লক্ষণ যদি কোন ঔষধের একক ও নির্দেশক লক্ষণ হয় তাহলে আমি মানষিক লক্ষণের উপর নির্ভর করে ঔষধ প্রয়োগ করবো। আর যদি একি লক্ষণ কয়েকটি ঔষধে থাকে তখন আমাকে সঠিক ঔষধ বের করার জন্য অন্যান্য লক্ষণ দেখতে হবে। মাহাত্না হ্যানিম্যান শুধু মানষিক লক্ষণ লিখে যান নি , তিনি মানষিক ও শাররীক দুটো লক্ষণই লিপিবদ্ধ করেছেন যাতে সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করা যায়। মন এবং দেহ দুটোর সম্মিলিত রুপই হল মানব দেহ। রোগ শক্তি মনে আক্রমন করার পর দেহের বাহিরে লক্ষণ প্রকাশ করে। তাই হ্যানিমান দুটোপরিবর্তন লক্ষ করে তা লিপিবদ্ধ করেন। হ্যানিমান অল্প কিছু মেডিসিন ওয়েল প্রুফ করলেও তাঁর পরবর্তি তে অনেক ঔষধ আবিষ্কার হয়েছে, যেগুলো ভাল পরীক্ষার অভাবে Seভাবে মানষিক লক্ষণ বের করতে পারেনি, অধিকাংশই শারীরিক লক্ষণ। মাইন্ড মেথডে মানষিক লক্ষণকে গুরুত্ব দেয়া হলেও ক্লাসিকে আমরা মাহাত্না হ্যানিম্যানের চিন্তা অনুসারে দুটো দেখে ঔষধ সিলেকশানের চিন্তা করি। ভিন্ন ভিন্ন ডাক্তার ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে ঔষধ সিলেকশন করে। যিনি যেখানে ঔষধ বের করার কৌশল রপ্ত করেছেন তিনি সে ভাবে ঔষধ সিলেকশন করেন। তাই দ্ন্ধ না করে আমরা সব মেথডই মাথায় রাখার চেষ্টা করি। অবশ্য দন্ধ নয় গিয়াস ভাই ইচ্ছা করেই খুচিয়ে খুচিয়ে কথা বাহির করার চেষ্টা করে।
আমি গত কাল ফসফরাসের একটা রোগীলিপী দিয়েছিলাম। সেখানে মানষিক ও শাররীক লক্ষণ ছাড়া এ্যকজাইটিং কজ এর উপর নির্ভর করে নাক্স প্রয়োগ করেছিলাম। এবং রোগী দারুন রেজাল্ট পেয়েছে। তাই চিকিৎসক কে ভিবিন্ন সময় বিভিন্ন লক্ষণের উপর নির্ভর করে ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। শুধু মাত্র একটার উপর নির্ভর করা উচিত নয়। চিকিতসায় শাররীক, মানষিক , উত্তেজক কারন, সব কিছু লক্ষ্য করে একজন চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন - কোন রোগীতে কোন লক্ষণের উপর গুরুত্ব দিয়ে ঔষধ দিতে হবে। যাই হোক আমরা সিপিয়ার আলোচনায় ফিরে যাই। *** পানিতে নেমে দীর্ঘক্ষন কাজ করার কারনে কারো পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে অক্জাইটিং কজের ভিত্তিতে রাসটক্স বিফলে সিপিয়া ভাল কাজ করে। কোন একটা বইতে এটা আমি পড়েছি । প্রশ্ন হল- পানিতে দীর্ঘক্ষণ দাডিয়ে রাজ করলে চলমান পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয় কিনা?
সিপিয়া -পালসেটিলার মত তৃঞ্ষাহীন, ভীরু, ক্রন্দনশীল ও পরিবর্তনশীল। কিন্তু সিপিয়া শীতকাতর -পালস - গরমকাতর । মাথা যন্ত্রণা, কোমর বেথা , কাশি , শ্বাসকষ্ট এ সব সাধারণত বিশ্রামে নিলে উপশম হয় .. কিন্তু লক্ষ্যনীয় হলো সিপিয়া পরিশ্রম করলে উপশম হয় । সিপিয়া র রোগি মলদ্বারে ঢেলার মত ছিপি অনুভব করে । অবশ্য মাথা,পেট , জরায়ু -তেও এমন ঢেলা অনুভব হতে পারে । Mind - SCREAMING, shrieking, shouting - holds, on to something, unless she---েএকমাত্র ঔষধ সিপিয়া । কিন্তু এই সিমটম এর ব্যাখ্যা কি হতে পারে ...?? সিপিয়ার শ্বেতপ্রদর গাঢ় ও ক্ষতকারী। যোনিদ্বারে চুলকানি হয়। এলুমিনারও প্রায় একই রকম-কিন্তু এলুমিনার স্রাব অপেক্ষা কৃত পাতলা ও প্রচুর পরিমাণে হয়, অনেক সময় গোড়ালী পর্য।ন্ত বেয়ে পরে। আর সিপিয়ার মতো জরায়ু বাইরে আসার ন্যায় অনুভুতি থাকে না ।
বাংলাদেশের নাম করা একজন শিল্পপতি , টিভির পর্দায় ওনাকে দেখা যায়, সঙ্গত কারনে নাম বললাম না। আমেরিকান প্রবাসী। ওনার দুটো সংসার । প্রথম স্ত্রী অত্যন্ত হ্যাংলা পাতলা, বিয়ের পর ২ টি সন্তান হয়, এর পর থেকে শরীর ভাংতো শুরু করে, মানষিক ভাবে খিট্খিটে হয়ে যায়। যৌন কাজে অনীহা, যৌনিতে শুষ্ক বোধ হওয়ায় সহবাসে ব্যাথা পেতেন। তাই স্বামী থেকে দুরে থাকতে চাইতেন, ও দিকে স্বামী যৌন উদ্ধিপনা দুর করতে ব্যার্থ হয়ে প্রায় সময় ঝগড়া করতেন, এক পর্যায়ে স্বামী পরনারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন , এক পর্যায়ে আরেক টি বিয়ে করেন। আমি প্রথম স্ত্রীকে দেখেই বুঝতে পেরেছি সিপিয়ার রোগী। শরীরের কোন দিক থেকেই উন্নতি নেই। যাই হোক ওনার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে নিয়ে কষ্ট করে দিন কাটছে, স্বামী ২য় স্ত্রী নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। প্রথম স্ত্রীর তেমন খোঁজ রাখেন না। প্রথম স্ত্রীর মেয়েটাও মায়ের মত সিপিয়ার রোগী , উপরে বর্নিত মায়ের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু ভালোবাসার পেতে পাগল প্রায়, কত স্বপ্ন স্বামীকে নিয়ে নতুন সংসার করবে, ভালবাসায় ভরে উঠবে তার সংসার। ফেসবুকের মাধ্যমে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশের চট্টগ্রামের এক ছেলের সাথে পরিচয়, তার থেকে প্রেম , মেয়েকে দেখে ছেলের পরিবার রাজি না হলে ও ছেলেকে বৈধ আমেরিকান সিটিজেন বানানোর উদ্দেশ্যে বিয়েকরে রাজি হন। মেয়ের পরিবার কোন কারনে রাজি না হলে ও মেয়ে ছেলেকে না পেলে আত্নহত্যা করবে বলায় রাজি হয়। অবশেষে বিয়ে, ওদের বিয়ের ৬ মাস পর আমি এমেরিকায় আসি। যাই হোক প্রথম একটা সন্তান ৪ মাসে নষ্ট হয়ে যায়। পরে ফুটফুটে কন্য সন্তানের মা হন। সন্তান হওয়ার পর থেকে মায়ের আচরনে পরিবর্তন শুধু হয়, ভালবাসা বিষাধে পরিনত হয়, নিয়মিত ঝগড়া , স্বামীকে কাছে আসতে দেয়না। পেটে শুন্যতা বোধ, কিন্তু ক্ষুধা আছে। প্রচন্ড জেদী, একগুয়ে , সংসারে অনিহা ইত্যাদি দেখা দেয়। এ ফাঁকে স্বামী স্ত্রী ডিভোর্স হয়ে যায়। আমি আমেরিকায় চিকিত্সা না করলে ও ওনারা জানে আমি হোমিও ডাক্তার । তাই আমাকে কোন ঔষধ আছে কিনা জিজ্ঞেস করে। আমি মানষিক আঘাতের কথা চিন্তা করে ইগ্নেশিয়া ২০০ প্রয়োগ করি। ১ মাস পর পেটে শোনাতা বোধ লক্ষণ সহ রোগীর শাররীক ও মানষিক লক্ষণ চিন্তা করে সিপিয়া২০০ দিই। ঔষধের কোন টাকা পেলাম না। ওনাদের বাসায় প্রায় যেতাম তাই পরিবারের মত মনে করতো। তাই আমি ও টাকা চাইনি। এর পর থেকে কাউকে ঔষধ দিইনা। লিখে দিই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে কিনে খান। যাই হোক মানষিক অনেক পরিবর্তন, পেটের সমস্যা নেই। কিছু দিন পর জানলাম আমার বয়স কম তাই ওনার কোন এক অভিজ্ঞ ডা:আত্নিয়ের পরামর্শে ঔষধ কিনেছেন জানতে পেরে আমি আর ঔষধ দিই নাই।রোগী খুব শীতকাতর ছিলেন।
No comments:
Post a Comment